• শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন
Headline
*খুলনায় ৩ মামলায় ৮ বছর সাজাসহ মোট ৬ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬* ফকিরহাটে হ্যামকো গ্রুপে ডাকাতির ঘটনায় কোটি টাকার মালামালসহ গ্রেফতার ৯ পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে: এড.মনা খুবিতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু অর্থায়ন’ বিষয়ক কর্মশালা টানা বৃষ্টিতে খুলনা রেজিস্ট্রি অফিসের ছাদ ধসে শতাধিক রেকর্ড বই ক্ষতিগ্রস্ত বটিয়াঘাটায় বীরমুক্তিযোদ্ধা গৌর চন্দ্র টিকাদার-কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন। খুলনা জেলা পুলিশের জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত কেএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন সেনা ও নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গু‌লি ইয়াবাসহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সাতক্ষীরা হতে গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

Reporter Name / ১৩ Time View
Update : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

চার বছর আগে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন এলাকায় বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামের (৩০) মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর অর্থ অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিততে রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষকের কোনও ছাড় নেই। সব ধর্ষকের আরও কঠিন সাজা হওয়া উচিত। যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহসও না পায়।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমরান হোসেন রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চতা আদালতে যাওয়ার কথা জানান। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেলে আসামি খালাস পাবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটির বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিল। এসময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন। পরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, তার শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার তদন্ত করে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা