আবু-হানিফ,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটে মামলা প্রত্যাহার না করায় কাকড়া হ্যাছারী মালিককে বেধে রেখে ঘর
জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্ত ভোগী বেল্লাল মোল্লা।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাট করেন ভুক্ত ভোগী বেল্লাল।
লিখিত অভিযোগে বেল্লাল বলেন, সি.আর-১৯৫/২৫, জি.আর-১০৩/২৫ , পি- ৬৮/২৫ এই
মামলা প্রত্যাহরের জন্য বার বার হুমকি দেয়। আমি মামলা প্রত্যাহার না করায়
আমার কাকড়া হ্যাছারী ঘর সহ আমাকে বেধে আগুনে জ্বালিয়ে দেয় আয়শা বেগম,,
মোহাম্মদ আলী শেখ, শফিক শেখ, বাদশা শেখ, রাজা শেখ, ওসমান শেখ, মারুফ শেখ,
জোবায়ের শেখ এরা আমার শশুর বাড়ীর আত্মীয় স্বজন। আয়শা বেগম আমার বিবাহীত
স্ত্রী কিন্তু বিবাহের পর থেকে আমরা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার শুরু করি।
এরই ধারাবাহিকতায় আমার ঔরষে আয়শার গর্ভে ২ টি সন্তান জন্ম গ্রহন করে এবং তারা
জীবিত আছে।উল্লেখ্য যে আয়শার আপন ফুফাতো ভাই শফিক শেখরে সাথে আয়শার অবৈধ্য সম্পর্ক
রয়েছে। আমি এই সম্পর্ক নিয়া বাধা দিলে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। আমার
শশুরকে এ বিষয় জানালে এবিষয়ে কোন কর্ণপাত না করিয়া আমাকে আরো জোর পূর্বক
বিভিন্ন ব্যপারে হয়রানি করে।গত ১৬ফেব্রুয়ারী আমার স্ত্রীকে শফিক শেখ ফুসলাইয়া ঘরে রাখা ২লক্ষ
টাকা নিয়ে গেলে আমি বাদি হয়ে আদালতে সি.আর- ৬৯/২৫ মামলা দায়ের করি। ঐ
মামলায় আসামীদের নামে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।ওই
মামলায় আমার স্ত্রী ১৭ দিন জেল হাজতে থাকর পর আমার জিম্মায় মিমাংসা
সুত্রে জামিন দেয় আদালত। অপর আসামী শফিক শেখ ১২ দিন পর
জামিনে মুক্ত হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে মিট মিমাংসা হয়। আমার স্ত্রী আমার
ঘর সংসার করিবে বলিয়া অঙ্গিকার নামা দেয়।গত ২৪ এপ্রিল আমাকে মারপিট
করার জন্য আদালতে বিচারধীন পি- ৩২/২৫ মামলা, গত ১২মে ভোরে আমার স্ত্রী
ও শফিক শেখ অবৈধ্য মেলামেশা করার উদ্দেশ্য আমার বাড়ী থেকে ফুসলাইয়া মটর
সাইকেল যোগে আমার স্ত্রীকে নিয়ে চলিয়া যায়। যাওয়ার সময় আমার ঘেরের মাছ
বিক্রয় করা ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমি অনেক খোজাখুজির এক পর্যায় আমার স্ত্রী ও শফিক শেখ কে
ফয়লা বাজারে দেখতে পাই।পরবর্তীতে আমার স্ত্রী এবং শফিক শেখ ফোন বন্ধ
করিয়া রাখে। এর ই একদিন পর ১৫মে বিকালে ফোন খুলিয়া পুনরায় আমার নিকট শফিক
শেখ ১লক্ষ টাকা দাবী করে এবং বলে না দিলে সে অমার স্ত্রীকে ফেরত দিবেনা।
আমি উক্ত টাকা দেওয়ার অপরাগতা প্রকাশ করিলে আমার স্ত্রী ও শফিক শেখ আমাকে
হুমকি দিয়ে বলে যে তুই যদি আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করিস ও উদ্ধারের
চেষ্টা করিশ তাহলে তোকে ও তোর সন্তানদের মারিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিব।এছাড়া আমার স্ত্রী পূর্বে থেকেই চরিত্রহীনা আমার কাছে অনেক
প্রমান আছে এবং হাতে নাতে বহুবার আমার কাছে ধরা পড়েছে এই অপকর্মের ভিডিও
আমার কাছে আছে। রামপাল থানার পুলিশ ও হাতে নাতে বহুবার ধরেছে। আগুনের শিখা
লেগে আমার মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন আছে তখন আমার
চিকিৎসার করার জন্য স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রামপাল স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। পরবর্তীতে আমার শরিরের অবস্থা অবনতি দেখে রামপাল
হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়,সেই থেকে আমি ৬ দিন বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছি।##