• বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
Headline
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মৈত্রী সুপার শপের জমকালো উদ্বোধন হাসপাতালে বেড সংকট: সিঁড়িতে শুইয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দিলেন আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার সাতক্ষীরা-৩: বিএনপি প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের পাশে ইঞ্জিনিয়ার মুকুল, দেখা করতে অস্বীকৃতি ডা. শহিদুলের সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের স্মার্ট বাহিনীর জেলেদের আটককৃত কাঁকড়া বিক্রির অভিযোগ সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে শীতে আক্রান্ত হয়ে জেলের মৃত্যু শ্যামনগরে এক হরিণ শিকারীকে আটক যশোরে পদোন্নতি বঞ্চিত বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শার্শায় মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার আমেরিকা থেকে এই প্রথম আনা ৬০৮৭৫ টন গম মোংলা বন্দরের বহিরনোঙ্গরে খালাস

টানা বৃষ্টিতে খুলনা রেজিস্ট্রি অফিসের ছাদ ধসে শতাধিক রেকর্ড বই ক্ষতিগ্রস্ত

খুলনাভিশন ডেক্স। কাজী আতিক / ১০১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

নিউজ ডেক্স
রাতভর ভারী ও টানা বর্ষণে খুলনা জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের ছাদ ধসে পড়েছে। এতে শতাধিক ভলিউম বই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চুন আর সুড়কি দিয়ে ব্রিটিশ আমলের তৈরি খুলনা জেলা ও সদর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ একতলা ভবনে ঝুঁকি নিয়েই কাজ চলছে।

রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মীরা জানান, গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সারা রাত একটানা ভারী বর্ষণ হয়। আজ মঙ্গলবার অফিস খোলার পর দেখা যায়, ভবনের রেকর্ড রুমের ছাদের একটি অংশ ভেঙে পড়ে বৃষ্টিতে রেকর্ড রুম তলিয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক স্টাফরা ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক রেকর্ড বই ফ্যানের বাতাসে শুকাতে দেন। এরপর পানি সেচে ফেলা হয়।

দুপুরে ওই অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ভেঙে যাওয়া ছাদের অংশটি ঢালাই দিয়ে মেরামতের কাজ চলছে।

জানতে চাইলে খুলনা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার মাহবুবুর রহমান জানান, ভবনটির বিভিন্ন অংশ থেকে পানি পড়ছে। প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে আজ ভোরের দিকে ভবনটির মাঝখানের ছাদের একাংশ পড়ে যায়। ফলে বৃষ্টিতে সেখানে রাখা শতাধিক বই পানিতে ভিজে গেছে। বৃষ্টির পানি যাতে আর না আসতে পারে, সে জন্য ছাদের ওপর পলিথিন দিয়ে চারজন শ্রমিকের মাধ্যমে রেকর্ড রুম পরিষ্কার করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভবনটির ছাদ এর আগেও কয়েকবার ধসে পড়েছিল। বিভিন্ন সময়ে ছাদের অংশ ভেঙে পড়ায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। মাঝেমধ্যে সংস্কার করে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হলেও প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

খুলনা সিটি করপোরেশন ভবনের পাশেই রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, এটি খুলনার একটি প্রাচীন ভবন। ভবনটিতে রয়েছে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার জমির মূল্যবান দলিলপত্রের রেকর্ড। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জমির রেকর্ডগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

জানতে চাইলে খুলনা জেলা রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভবনটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনায় অফিস বন্ধ থাকা, অফিস শিফট করতে না পারার কারণে ওই প্রকল্পের অর্থ ফেরত যায়। আমরা বর্তমানে খুবই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। জরুরি ভিত্তিতে অফিস শিফট করা প্রয়োজন। আশপাশে ভবন খোঁজা হচ্ছে, পেলেই আমরা চলে যাব।’


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা