কাজী আতিক
খুলনার বটিয়াঘাটা রানা রিসোর্ট এন্ড এমুজমেন্ট পার্কের অব্যবস্থাপনার কারণে কুরআনের হাফেজ সুইমিংপুলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। ঝালকাঠি জেলার কাওখালী উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের পুত্র হাবিবুর রহমান (১৩) স্বপরিবারে গোপালখালী রানা রিসোর্ট এন্ড এমুজমেন্ট পার্কে বেড়াতে আসে ।
জানা যায়, হাবিবুর রহমান (১৩) ঢাকা সাভার ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদরাসায় হেফজ বিভাগ থেকে সদ্য হেফজ শেষ করে ঈদের ছুটিতে নানা বাড়ী খুলনা ৭ নং ঘাট এলাকায় বেড়াতে এসে পার্কে ২ ঘটিকার দিকে যথারীতি নিয়মে প্রবেশ ও সুইমিংপুল টিকিট কেটে প্রবেশ করে। সুইমিংপুলে কোন লাইফ জ্যাকেট, রিসকিউটিমের ব্যবস্থা ছাড়াই সুইমিংপুলে সাতার কাটার কোন এক সময় হাবিবুর রহমান (১৩) পানির নিচে ডুবে যায়। বেলা ৩টার দিকে অন্য একজনের পায়ে বেধে গেলে তার চিৎকারে সুইমিংপুলে থাকা অন্য একজন তাকে পানি থেকে তুলে এনে দ্রুততার সাথে বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেব জ্যোতি বৈরাগী ও ডাঃ দেবী ব্যাপারী(উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার) মৃত ঘোষণা করেন।
হাবিবুর রহমান (১৩) এর খালু খুবই দুঃখ নিয়ে জানান, যে সুইমিংপুল বাবদ আমাদের নিকট থেকে ২০০/- টাকা গ্রহণ করলেও আমাদের কোন লাইফ জ্যাকেট দেইনি কোন রিসকিউটিমের ব্যবস্থা ছিলোনা। যার জন্য এরকম ঘটনার স্বীকার হয়েছে।তবে অন্য একটি সূত্রে জানা যায় বাচ্চাটির অভিভাবকের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটায় অভিভাবকেরা এর দায় এড়াতে পরেনা বলে সূত্রটি জানায়।
ইতোপূর্বে রানা রিসোর্টের নানা অনিয়মের কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা পার্কটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করে।
পরবর্তীতে এসপি সি,সার্কেল, খুলনা ঘটনাস্থলে এসে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও তার কোন প্রতিফলন এখনও ঘটেনি। পার্কটি বন্ধের জন্য এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় সোচ্ছার প্রতিবাদ করে আসছেন। এ ব্যাপারে পার্কের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোযেগর চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেনি।