বটিয়াঘাটা উপজেলার বারআড়িয়া কলেজ ঘাট নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিডিউল মোতাবেক ছাড়াই ঠিকাদার তার ইচ্ছামত ঘাট নির্মাণ কাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও ঘাট নির্মাণ কাজ করেছে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে। সূত্র প্রকাশ, সুরখালি ইউনিয়ন পরিষদের ১% কাজের কাজ এটি। কাজে অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে উপজেলা এলজিইডি অফিসের ইঞ্জিনিয়ার, সহকারী ইঞ্জিনিয়ার, সার্ভেয়ার ও ঠিকাদার। কাজের শুরুতেই বেইজ ঢালাই ইট বালি, সিমেন্ট, লোহার রড দেয়া হয়েছে ছোট বড়। সব মিলে কাজ চলছে ব্যাপক নয় ছয়ের মধ্যে দিয়ে। ঠিকাদার ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, সহকারী ইঞ্জিনিয়ার নিকট কাজের সিডিউল চাউলে শুধু তালবাহানা করছেন।
বটিয়াঘাটা উপজেলা এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলী তপন কুমার মণ্ডল বলেন, কাজটি দেখাশুনা করছেন সার্ভেয়ার রাগিব হাসান। রাতের আধারে কলেজ খেয়া ঘাটের কাজটি করেন ঠিকাদার আশিক এন্টারপ্রাইজ এর মো: রফিকুল ইসলাম। রাতে কাজ করা যাবে কিনা প্রকৌশলী তপন বাবুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতে কাজ করার কোন বিধান নাই। শুধু তাই নয় এই ঠিকাদার আশিক এন্টারপ্রাইজ এর বিরুদ্ধে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নমূলক ১% টাকার কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। যা সরেজমিন তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে কাজের নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি। আর এসব কাজের বেশিরভাগই দেখাশোনা করছেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসার সার্ভেয়ার রাগীব হাসান। তার নিকট কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাজে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হয়না। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়,অধিকাংশ কাজের সাইডে তিনি আসেননা।
ঠিকাদার আশিক এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মো : রফিকুল ইসলাম বলেন আমার কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হয় না। সবাইকে কিছু কিছু করে দিতে হয় বিধায় কাজে একটু ত্রুটি বিচ্যুতি হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা তান্নি বলেন, কাজে অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। উল্লেখ্য সম্প্রতি বটিয়াঘাটা এলজিইডি অফিসে বিভিন্ন কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।