’নিউজ ডেক্স
করিডোর স্পর্শকাতর বিষয়, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয় এমন বিষয় হলে তা প্রতিহত করা হবে। সোমবার (২৬ মে) সেনা সদরে এক ব্রিফিংয়ে এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন নেই, দেশের স্বার্থে সেনাবাহিনী আপসহীন। কেএনএফের ৩০ হাজার ইউনিফর্ম বানানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। গত একমাসে কেএনএফের ১ হাজার ৯৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজারের বেশি কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ৪ হাজারের বেশি মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর। সরকারের নির্দেশনা মেনেই কাজ করা হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য নেই। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে সবার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
সেনাবাহিনী জানায়, সীমান্তে পুশইন কোনোভাবে কাম্য নয়, সেনাবাহিনী যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন হলে সরকারের নির্দেশনায় যুক্ত হবে। তবে এখনো সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এছাড়াও মব তৈরির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, কেউ মব তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
সেনাবাহিনী জানায়, জুলাই অভ্যুথ্যানে ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৯৬ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৩৬ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঈদের আগে ও পরে মিলে ২ সপ্তাহের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় মহাসড়কগুলোতে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকাসহ দেশের গুরত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল ও মহাসড়কে দিন-রাত টহল পরিচালনা, গাড়ির অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনসহ টিকিট কালোবাজারি অথবা অধিক দামে টিকিট বিক্রি রোধ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ঈদুল ফিতরের মতোই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে জনসাধারণকে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোসহ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘনভাবে ঈদ উদযাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করা হবে।