অরুপ জোদ্দার, বটিয়াঘাটা:
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়ীত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আ: হাই খানের সঠিক দিকনির্দেশনায় জলমা ইউনিয়নের কৃষি উদ্যোক্তা অবঃ শিক্ষক রাজ কুমার রায়ের কৃষি জমিতে বোরো মৌসুমে পাকিস্তানি লং জাতের বাসমতি- ১১২১ ধান চাষ করে সফল হয়েছেন। লং বাসমতি ধানের ঘ্রান ও স্বাদের জন্য বিশ্বব্যাপি যার চাহিদা প্রচুর। দেশ-বিদেশের অনেক নামি দামি রেস্তরা, থ্রি-স্টার, ফাইভ-স্টার হোটেলে বাসমতি ধানের চাউলের বিরিয়ানি পোলাও ভাত খুবই জনপ্রিয়। ঘ্রানের জন্য বিশ্বব্যাপি যার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে সর্বত্র। উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আঃ হাই খান বলেন উক্ত জাতের ধান প্রধানত ভারতের হায়দ্রাবাদ ও পাকিস্তানে উৎপাদন হয়। আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রচুর পরিমানে বাসমতি চাউল আমদানি করা হয়। কৃষি উদ্যোক্তা রাজ কুমার রায় বলেন, সরকারের সাহায্য সহযোগিতা পেলে বাসমতি ধান আমাদের দেশে উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। দেশীয় বাজারে লং বাসমতি চাউল প্রতিকেজি দোকান ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা ও প্রতি মন ধান ৩৫০০ টাকার অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি উদ্যোক্তা রাজ কুমার রায় বলেন আমি ৫০ শতক জমিতে ৪০ মন বাসমতি ধানের উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তিনি আরো বলেন পাকিস্তানী লং বাসমতি – ১১২১ ধানের বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে কম মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরন করতে চান এবং কোন কৃষি উদ্যোক্তা যদি আমার ধানের জমি পরিদর্শন করতে আসতে চান তাহলে ( 01951-905560) নম্বরে যোগাযোগ করে আসতে পারেন। উপ সহ.কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন সুঘ্রান, গুনে মানে ও স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজার মূল্য অধিক বলে কৃষকরা এটি উৎপাদন করে অর্থনৈতিক ভাবে বেশী লাভবান হতে পারবেন।