• মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
Headline
শ্যামনগরে এক হরিণ শিকারীকে আটক যশোরে পদোন্নতি বঞ্চিত বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শার্শায় মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার আমেরিকা থেকে এই প্রথম আনা ৬০৮৭৫ টন গম মোংলা বন্দরের বহিরনোঙ্গরে খালাস “মৎস্য খাতে নতুন উদ্যম—মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ কর্মকর্তাদের ব্যতিক্রমী গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন” একই দিনে খুলনায় চারজনকে হত্যা শহর জুড়ে আতঙ্ক খুলনা-বরিশাল অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট , বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট, ধানের শীষের প্রচারণায় মনোনয়নপ্রত্যাশী জুলফিকার আলী উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় জরুরি অভিযোজন উদ্যোগের আহ্বান শ্যামনগরে অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে বিষ দিয়ে সুন্দরবনে মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৯

পাচারের ৫ লাখ কোটি টাকা ফেরাতে নিয়োগ পাচ্ছে বিদেশি ফার্ম : গভর্নর

খুলনাভিশন ডেক্স। কাজী আতিক / ৬৩ Time View
Update : শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

নিউজ ডেক্স

আওয়ামী লীগ টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। সেই টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, শিগগির বিদেশি ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এই কথা বলেন। এদিন দেশের সব ব্যাংকের অর্থপাচার রোধে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে চট্টগ্রামে আসেন গভর্নর।

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ একটা বড় ভিকটিম মানি লন্ডারিংয়ে। আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতে কতিপয় পরিবার বা গোষ্ঠী মানি লন্ডারিং করে সম্পদ চুরি করে বাইরে নিয়ে গেছে। দেশ থেকে গত ১৫ বছরে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপ আছে। বেক্সিমকোর পাচার করা অর্থ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। এগুলো শুধু বড় গ্রুপ। ছোটগুলোকে আপাতত দেখছি না।

পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর, রোগের উৎপত্তি রোধ করা প্রধান দায়িত্ব। রোগ সারানো হচ্ছে পরে। চুরি হওয়ার পরে বুদ্ধি বাড়িয়ে লাভ নেই। চুরি হওয়ার আগেই ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন আর কোনো ভাবে না হয়।

অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, প্রথমে এস্টেটগুলো (সম্পত্তি) ফ্রিজ করার চেষ্টা করব। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা কথা বলছি, চিঠি দিচ্ছি। ল ফার্মগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। শিগগিরই তাদের হায়ার (নিয়োগ) করা হবে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গে কথা বলছি, যথেষ্ট সহযোগিতাও পাচ্ছি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা হবে। এটিই হবে প্রাথমিক সফলতা।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সব বিষয় আদালতের মাধ্যমে নয়, আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। তার আগে সব তথ্য নিতে হবে। যখন সব তথ্য থাকবে, তখন তারা নেগোসিয়েশনে আসবে। নেগোসিয়শনে গেলে সব তথ্য নিয়েই যাওয়া লাগবে। না হলে তো আমরা ঠকে যাব।

গভর্নর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ একেবারেই নতুন। এটি দেশের আইনে নয়, বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ করে করতে হবে। কোথায় কী আছে, সে তথ্য আগে আনতে হবে। এস্টেট ফ্রিজ করার পর আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া হবে।

এস আলম গ্রুপের দিকে ইঙ্গিত করে গভর্নর বলেন, চট্টগ্রামেরই একটি বড় শিল্পগ্রুপ অন্তত দেড় লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এটি শুধু নিয়ে গেছে ব্যাংকিং খাত থেকে। সেরকম আরও বেশ কিছু আছে। যেমন বেক্সিমকোর পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা। আরও অনেকগুলো আছে যারা ৩০ হাজার, ৪০ হাজার ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। বড় শিল্প গ্রুপগুলো কয়েকটি মিলিয়ে আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঢাকার পর চট্টগ্রাম বড় ইউনিট উল্লেখ করে গর্ভনর বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের একটি বড় জায়গা আছে। তাই এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের মূল দায়িত্ব সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য নিয়ে আসা। শেয়ারবাজার ও রিজার্ভ স্থতিশীল আছে। আমরা স্বস্তির জায়গায় চলে এসেছি। রফতানি বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি এখন সহনীয়। কোনো সংকট আছে বলে মনে করি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত এলএনজি আমদানি হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফ্যাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন প্রমুখ। উপস্থাপনায় ছিলেন উপ-পরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা