তালায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবকে জখম করে নদীর চরে ফেলে দিলো প্রতিপক্ষরা
তালা :: তালার পূর্ব শত্রুতার জেরে সাইদুর রহমান নামে এক যুবককে বেধড়ক মারপিট, ফোলা ও জখমকরে অজ্ঞান অবস্থায় নদীর চরে ফেলে চলে যাই প্রতিপক্ষরা ।
রবিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে তালার হরিশ্চন্দ্রকাঠি দক্ষিণ বিলের ওয়াপদায় জমিতে মাটি কাটার সময় এঘটনা ঘটে। সাইদুর রহমান হরিচন্দ্রকাটি গ্রামের মৃত তমেজ উদ্দিনের পুত্র। সে বর্তমানে তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে তালা থানায় এজহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তালা থানার এএসআই খলিলুর রহমান।
সাইদুর রহমান পটল বলেন,জমিতে মাটি কাটার সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে তরুণ কান্তি চক্রবর্তী গনেশ পিতা :মৃত গৌরপদ চক্রবর্তী, ইমান মোড়ল পিতা-মৃত-শামছের মোড়ল, রাজু মোড়ল, ও সাজু মোড়ল উভয় পিতা-ইমান মোড়ল, সুজিত চক্রবর্তী পিতা- মৃত গৌরপদ চক্রবর্তী, হোসেন মোড়ল পিতা-মৃত শের আলী মোড়ল, শামীম বেহারা ও তার শ্বশুর – আমজাত মোড়ল (কটি), সর্বসাং হরিশচন্দ্রকাটি একত্রে আসিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি গালীগালাজ করার কারন জিজ্ঞেস করিলে প্রতিপক্ষরা দা, লাঠি,শাবল, লোহার রড,কোদাল ইত্যাদি লইয়া চারিদিক থেকে ঘিরিয়া ধরে। একপর্যায়ে বাশের লাঠি দ্বারা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য মাথা লক্ষ করিয়া বাড়ি মারে। অন্য একজনের হাতে থাকা আইল কাটা কোদাল দ্বারা কোপ মারে, আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য তাহার মাজায় থাকা গামছা দ্বারা গলায় পেচাইয়া শ্বাস রোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে। বাসের লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকলে আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে অন্ডকোষ টিপিয়া ধরে। আমাকে একা পেয়ে রক্ত জখম করার এক পর্যায়ে মৃত ভেবে নদীর চরে ফেলে রেখে চলে যাই। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।