• শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
Headline
*খুলনায় ৩ মামলায় ৮ বছর সাজাসহ মোট ৬ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬* ফকিরহাটে হ্যামকো গ্রুপে ডাকাতির ঘটনায় কোটি টাকার মালামালসহ গ্রেফতার ৯ পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে: এড.মনা খুবিতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু অর্থায়ন’ বিষয়ক কর্মশালা টানা বৃষ্টিতে খুলনা রেজিস্ট্রি অফিসের ছাদ ধসে শতাধিক রেকর্ড বই ক্ষতিগ্রস্ত বটিয়াঘাটায় বীরমুক্তিযোদ্ধা গৌর চন্দ্র টিকাদার-কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন। খুলনা জেলা পুলিশের জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত কেএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন সেনা ও নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গু‌লি ইয়াবাসহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সাতক্ষীরা হতে গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান চাইতে থানায় গিয়ে অপমানিত হলেন বাবা

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি / ৩২ Time View
Update : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

খুলনার কয়রায় শশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন আয়শা আক্তার মীম (২১) নামে এক গৃহবধু। জানতে পেরে নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানের জন্য পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাইতে গিয়ে অপমানিত হয়েছেন ওই নারীর বাবা মোখলেসুর রহমান। তিনি উপজেলার ২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় শনিবার ভুক্তভোগী কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ৫ মার্চ রাত থেকে তাঁর মেয়ে (২১) শশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানাতে তিনি ও তাঁর ভাই ইউনুস আলী শুক্রবার সকালে কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হকের কাছে যান। ঘটনা শুনে ওসি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘আপনার মেয়ে কার সঙ্গে পিরিতি করে চলে গেছে সেই মোবাইল নাম্বার দেন। তার সঙ্গে কথা বলে ফিরিয়ে আনতে পারি কীনা দেখি।’ এ সময় ওসির কাছে অনুনয়-বিনয় করে লিখিত অভিযোগটি নেওয়ার জন্য বলা হলে- তিনি আল্লাহররস্তে ডিউটি অফিসারের কাছে রেখে চলে যেতে বলেন। এবং সময় পেলে দেখবেন বলে জানান।


ঘটনার সময় ওসির কক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কয়রা উপজেলা কমান্ডের আহŸায়ক মওলা বকস। তিনি বলেন, একজন পিতা তাঁর নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানের জন্য পুলিশের সহযোগীতা চাইতে পারেন। এটা তাঁর নাগরিক অধিকার। কিন্তু পুলিশ তাঁকে যেভাবে বলেছে তা অপমানজনক।
নিখোঁজ গৃহবধুর বাবা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে শশুর বাড়িতে প্রায়ই নিগৃহীত হয়ে আসছে। সে কারণে অভিমানে কোথাও চলে গেছে হয়তো। মেয়ের সন্ধানের জন্য ওসি স্যারের কাছে সহযোগীতা চাইতে গেলে উল্টো তিনি অপমানজনক কথা বলেছেন। এ সময় আমার সাথে থাকা আমার ফুফাতো ভাই ওসি স্যারের কথার প্রতিবাদ করলে তাকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।’ তিনি এ ঘটনার প্রতিকার দাবী করেন।
‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারি সংস্থা’ কয়রা উপজেলা শাখার সভাপতি ও আইনজীবি আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, রাষ্ট্রের সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানে সহযোগীতা চাইতে গিয়ে কোন নাগরিক হেনস্থার শিকার হলে তা স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে।

 

জানতে চাইলে কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, নিখোঁজ নারীর বাবার সঙ্গে আরেক ব্যাক্তি থানায় এসেছিলেন। তিনি অপ্রাসাঙ্গিক কথা-বার্তা বলছিলেন এজন্য তাকে সতর্ক করে কিছু কথা বলা হয়েছে। ওই নারীর বাবার সঙ্গে খারাপ আচারণ করা হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা